NursingadmissionacademyPostAd

নার্সিং ভর্তি পরীক্ষার জন্য বাঁশ রেডি ! এবার যারা এইচএসসি দিয়েছো তাদের জন্য দুঃসংবাদ !


এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য নার্সিং ভর্তি পরীক্ষায় অনেক বড় দুষসংবাদ অপেক্ষা করছে সে বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে। 

এইচএসসি পরবর্তী নার্সিং ভর্তি পরীক্ষা প্রস্তুতি জিপিএ-এর ভিত্তিতে কঠিন প্রতিযোগিতা!

📢 এইচএসসি পরবর্তী নার্সিং ভর্তি পরীক্ষা প্রস্তুতি: জিপিএ-এর ভিত্তিতে কঠিন প্রতিযোগিতা!

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থীরা! আশা করি সবাই ভালো আছো।

সাম্প্রতিক এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের পর নার্সিং ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মনে নানা প্রশ্ন। যেহেতু এবার রেজাল্ট কিছুটা অপ্রত্যাশিত ছিল, তাই কীভাবে প্রস্তুতি নিলে চান্স পাওয়া সম্ভব, তা নিয়ে অনেকের মনেই দ্বিধা। বিশেষ করে যাদের পয়েন্ট তুলনামূলকভাবে কম এসেছে, তাদের জন্য এবারের প্রতিযোগিতা কিছুটা কঠিন হতে পারে।

১. নার্সিংয়ে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা (পূর্ববর্তী সার্কুলার অনুযায়ী)

অনেকের প্রশ্ন, "আমার কম পয়েন্ট, আমি কি পরীক্ষা দিতে পারব?" গত বছরের সার্কুলার অনুযায়ী ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা নিচে তুলে ধরা হলো:

কোর্সের নাম কোর্স মেয়াদ শিক্ষাগত যোগ্যতা
বিএসসি (B.Sc) ইন নার্সিং ৪ বছর এসএসসি + এইচএসসি মিলে মোট জিপিএ কমপক্ষে ৭.০০ (তবে কোনোটিতে ৩.০০ এর কম নয়)। এইচএসসিতে জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম ৩.০০ থাকতে হবে।
ডিপ্লোমা ইন নার্সিং/মিডওয়াইফারি ৩ বছর এসএসসি + এইচএসসি মিলে মোট জিপিএ কমপক্ষে ৬.০০ (তবে কোনোটিতে ২.৫০ এর কম নয়)। যেকোনো বিভাগ থেকে আবেদন করা যায়।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য: অর্থাৎ, ন্যূনতম ২.৫০ জিপিএ পেলেও তুমি পরীক্ষা দিতে পারবে। কিন্তু মূল প্রতিযোগিতা হয় মেধা তালিকার ক্ষেত্রে।

২. জিপিএ-এর ভিত্তিতে নম্বর বন্টন: মেধা নির্ধারণের মূল ফ্যাক্টর

নার্সিং ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১৫০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধা তালিকা তৈরি করা হয়। এর মধ্যে ৫০ নম্বর আসে তোমার এসএসসি ও এইচএসসি-এর ফলাফল থেকে।

বিষয় নম্বর বন্টন সর্বোচ্চ নম্বর
এসএসসি জিপিএ জিপিএ × ৫ ২৫
এইচএসসি জিপিএ জিপিএ × ৫ ২৫
লিখিত পরীক্ষা (MCQ) পরীক্ষা (পাশ নম্বর ৪০) ১০০
মোট নম্বর ১৫০

হিসাবটি এমন: লিখিত পরীক্ষায় তুমি যদি ৭০ পাও এবং তোমার জিপিএ-এর মোট স্কোর ৪০ হয়, তাহলে তোমার চূড়ান্ত স্কোর হবে ৭০ + ৪০ = ১১০।


৩. ফার্স্ট টাইমারদের জন্য প্রতিযোগিতা কেন কঠিন?

এবারের এইচএসসি রেজাল্টে তুলনামূলকভাবে ফল কিছুটা খারাপ হওয়ায়, ফার্স্ট টাইমার (যারা এই বছর এইচএসসি পাশ করেছে) শিক্ষার্থীরা এই জিপিএ-এর ৫০ নম্বরে পিছিয়ে পড়তে পারে। এর প্রধান কারণ হলো:

  • গত দুই বছরের ফলাফল: গত বছর ও তার আগের বছরগুলোতে শিক্ষার্থীরা সাধারণত তুলনামূলক ভালো রেজাল্ট করেছিল।
  • সেকেন্ড/থার্ড টাইমারদের সুবিধা: যারা গত বছর ভালো রেজাল্ট নিয়ে এইচএসসি পাশ করেছে (সেকেন্ড/থার্ড টাইমার), তারা জিপিএ-এর এই ৫০ নম্বরে এগিয়ে থাকবে।
  • ফলাফল: লিখিত পরীক্ষায় (১০০ নম্বর) ফার্স্ট টাইমার, সেকেন্ড টাইমার বা থার্ড টাইমার—সবাই যদি একই নম্বর পায়, তবুও ভালো জিপিএ-এর কারণে সেকেন্ড ও থার্ড টাইমাররা মেধা তালিকায় এগিয়ে থাকবে। চান্স পাওয়ার ক্ষেত্রে জিপিএ-এর নম্বর একটি বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে।

এ কারণে, ফার্স্ট টাইমারদের চান্স পেতে হলে লিখিত পরীক্ষায় (১০০ নম্বরে) অনেক বেশি ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য কঠোর প্রস্তুতি নিতে হবে।


৪. প্রস্তুতি ও পরবর্তী পদক্ষেপ

যদিও জিপিএ-এর নম্বর কমানো বা বাড়ানোর বিষয়ে বিভিন্ন আলোচনা শোনা যাচ্ছে, তবে এখন পর্যন্ত ৫০ নম্বর বহাল আছে। তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এই নিয়ম মেনেই প্রস্তুতি নিতে হবে।

  • আমাদের প্রস্তুতি কোর্স: আমাদের অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে তোমরা নার্সিং ভর্তির সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রস্তুতি নিতে পারবে।
  • আনলিমিটেড পরীক্ষা: আমাদের প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তোমরা যত খুশি তত পরীক্ষা দিয়ে নিজেদের প্রস্তুতি যাচাই করতে পারবে।
  • সকল তথ্যের জন্য: নার্সিং ভর্তি সংক্রান্ত যেকোনো নতুন তথ্য (যেমন- মানবণ্টন বা জিপিএ-এর নম্বর কমানো) জানার জন্য আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারো।

এই প্রতিযোগিতার বাজারে ভালো ফল করতে হলে এখন থেকেই সেরা প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দাও।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নার্সিং এডমিশন একাডেমির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url